নিউজ ডেস্ক ::
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব মিয়ানমারকে দিতে হবে এর কোনো বিকল্প হতে পারে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। দুই দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে ঢাকা ছাড়ার আগে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। অন্যদিকে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশকে অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
কক্সবাজারে সরেজমিনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন শেষে ঢাকায় ফিরে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।
জাতিসংঘ মাহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার এর সমাধান তাদেরই করতে হবে। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানোয় মিয়ানমারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক চাপ জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা নিয়ে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারকে রাজনৈতিক সমাধান ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে। মিয়ানমার সরকার এবং তাদের সামারিক বাহিনীকে রাখাইনে একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে পারে। নাগরিকত্ব না দেয়ার প্রশ্নে দেশটির সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো ধরনের চুক্তি বা সমঝোতার খবর ভিত্তিহীন।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন, মানবিক সাহায্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন একইসঙ্গে অব্যহত রাখতে তার সংস্থা তৎপর রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তা শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য নয়, কক্সবাজারের স্থানীয়দের উন্নয়নেও ব্যবহার করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশকে কম সুদে ও দীর্ঘ মেয়াদে ৩০৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্ব ব্যাংক। সংস্থাটির সুবিধা নেয় বিশ্বের এমন সব দেশের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সবোর্চ্চ ঋণ সহায়তা। আর রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ব ব্যাংক ঋণ নয়, বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার অনুদান দেবে।
দুই বিশ্ব সংস্থার প্রধান জানান, আপাতত তাদের মিয়ানমার সফরের পরিকল্পনা নেই। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে যৌথভাবে কাজ করবে জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংক।
পাঠকের মতামত: